সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানাবিধ কাজে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য হলেও ফিটনেস
সেন্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের জিম বা ফিটনেস সেন্টার গড়ে উঠেছে। ফিজিক্যাল ট্রেনাররা
ট্রেনিং এবং পড়াশোনা করে এসে গড়ে তুলছেন নিজস্ব জিম বা ফিটনেস সেন্টার। তবে
গতানুগতিক স্কুল কলেজ বা ভার্সিটির সাদামাটা জিম বা ফিটনেস সেন্টার দ্বারা ভাল মানের
শারীরিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব না। এজন্য দরকার equipment-based জিম বা ফিজিক্যাল
সেন্টার। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে একটি International মানের
ফিটনেস সেন্টার গড়ে তুলতে হয় এবং কোন কোন Equipment বা Diet plan সেট করতে হয়।
ফিটনেস সেন্টার কি
ফিটনেস সেন্টার বা সহজ বাংলায় জিমনেশিয়াম বা আরো শর্টকাটে জিম হলো একটি নির্দিষ্ট
স্থান যেখানে বিভিন্ন সরঞ্জামাদির সাহায্যে Exercise বা শারীরিক অনুশীলন করা হয়। বাংলাদেশে
ক্রিকেট খেলা যেহেতু জনপ্রিয় এবং ক্রিকেটের মূল কাজই হলো ফিটনেস, সেহেতু ফিটনেস
সেন্টারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। শুধু ক্রিকেটই নয়, যে কোন খেলাধুলার ক্ষেত্রে ফিটনেস
একটি বড় ব্যাপার।
মূলত ফিটনেস সেন্টার চালু করতে গেলে আপনাকে প্রথমেই কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে
যাকে আমরা Mission & vision বলে থাকি। মিশন ও ভিশন ছাড়া ফিটনেস সেন্টার চালনা করা
কঠিন। আমেরিকার ফিটনেস সেন্টারের মিশন থাকে যে তারা সেলিব্রিটিদের এবং ইন্সটাগ্রাম
মডেলদের জন্য কাজ করবে। যেহেতু অনলাইনে আজকাল বিভিন্ন শিক্ষামূলক জিনিস পাওয়া
যায়, তাই এইসব মডেলরা তাদের ফিটনেস স্কিল, শারীরিক গঠন, ডায়েট প্ল্যান শেয়ার করে
থাকেন। টিপস ও Workout ভিডিও শেয়ার করেন ইউটিউব বা টুইটারে। অনেকে ফিটনেস ব্লগ
থেকে Earn করে থাকেন।
ইউরোপে যেহেতু খেলাধুলা একটু বেশিই হয় এবং বিখ্যাত সব Outdoor games গুলো ইউরোপেই
, তাই সেখানের ফিটনেস সেন্টারগুলোর Target থাকে ভাল মানের ক্রিড়াবিদ গড়ে তোলা।
ইউরোপে ফুটবল এবং ক্লাবগুলো বেশ জনপ্রিয় যেমন- ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ প্রিমিয়ার
লিগ, ফ্রেঞ্চ প্রিমিয়ার লিগ, ইটালিয়ান লিগ, ইত্যাদি। এসব ক্লাবগুলোতে অনেক খেলোয়াড় খেলে
থাকেন এবং তাদের পেশাদার জীবনের বেশিরভাগই কাটে জিমে। এছাড়াও জিমন্যাস্টিক,
এথলেটিক্স, সাইক্লিং, কার রেসিং সহ নানাবিধ খেলার স্থান ইউরোপ।
ফিটনেস সেন্টার সেটাপ করতে গেলে আপনাকে বেশ স্পেস নিয়ে একটি হলরুম বা কমিউনিটি
সেন্টারের মত জায়গা ভাড়া করতে হবে অথবা নিজস্ব স্পেস থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে
অবশ্যই Trained person হতে হবে। তবে অনেকেই ব্যবসার খাতিরে অথবা সময়ের অভাবে
Training course করতে পারেন না। তারা কোনো Expert এবং Trained ফিজিক্যাল Instructor
কে হায়ার করতে পারেন বা বেতনভুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে Assign করতে পারেন। পরবর্তী
সেকশনে এসব নিয়েই আলোচনা করা হবে।
ফিটনেস সেন্টারের অবকাঠামো
যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র তৈরি করতে চাই স্থিতিশীল অবকাঠামো। এটা ছাড়া কিছুই
সম্ভব না। আর যেহেতু ফিটনেস সরঞ্জামাদি বেশ ভারী হয়ে থাকে, তাই যে কোনো স্পেস বা
জায়গায় এটা তৈরি করা যায় না। তবে সীমিত পরিসরে হলে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হলে ছোট
জায়গায়ও করা চলে। একটি ফিটনেস সেন্টারে যা যা দরকার বা অবশ্যই প্রয়োজনীয়, তা নিচে
তুলে ধরা হলো-
সুগঠিত কক্ষ বা স্পেস
জিম বা ফিটনেস সেন্টার বলতে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে কিছু ডাম্বেল আর বারবেল নিয়ে
গড়ে ওঠা এক অন্ধকারাছন্ন পরিবেশ। কারণ আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এরকম ছবিই
আমরা দেখে আসছি ছোটবেলা থেকে। আসলে এরকম কিছুই করা যাবে না ফিটনেস সেন্টারে।
ফিটনেস সেন্টার হতে হবে কমপক্ষে ৪০ x ৪০ স্কয়ার ফিট বা ১৬০০ স্কয়ার ফিট। এর উপরে যত
খুশি হতে পারে। সদস্য সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে স্পেসও বাড়তে পারে- স্বাভাবিক। কক্ষটিকে
হতে হবে ventilated বা বাতাস চলাচলের উপযোগী। দুইপাশে দেয়াল থাকতে হবে এবং বাকি
দুই পাশে প্লেক্সিগ্লাস বা গ্লাসের দেয়াল রাখা ভালো। বিশেষ করে রাস্তার দিকের দেয়ালে কাচ
দেয়া হয়। তিনদিকে রাস্তা বা ফাকা বাড়ি থাকলে, তিন দেয়ালেও কাচ দেয়া যায়। স্পেসের ফ্লোর
সিমেন্টের বা মোজাইকের হতে হবে। টাইলস এর মেঝে করা যায় তবে প্রতি বছরই সেটা
মেইন্টেন্যান্স করতে বেশ কিছু খরচ হয়।
আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র
ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের বেলায় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন- ভিতরের দেয়ালের রঙ,
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, এসি, বড় স্ক্রিন, ব্যাক আপ, রিফ্রেশমেন্ট রুম, রিসিপশন, ফার্নিচার, টয়লেট
সুবিধাদি, এবং ফ্যাব্রিক্স। ফ্যাব্রিক্স বলতে পর্দা বা কার্টেন, ফ্লোর ম্যাট বা কার্পেট, ওয়েস্ট (waste)
বাস্কেট বা মিনি ডাস্টবিন, লজিস্টিক সাপোর্ট, ইত্যাদি বোঝানো হয়। ভিতরের দেয়ালের রঙ
সাধারনত হালকা কালার দিলে ভালো হয়, যেমন- অফ হোয়াইট, ফেড পিংক (মেয়েদের জিমের
বেলায়), ডার্ক পার্পল বা নীল, হালকা সবুজ, হলুদ, ইত্যাদি। তবে এমন রঙ ব্যবহার করা উচিত
যাতে আলো রিফ্লেক্ট করে বা ঘর আলোকিত থাকে। তাছাড়া ঘরে প্রপার ভেন্টিলেশনের সাথে
সাথে পর্যাপ্ত আলোর সুব্যবস্থা থাকা অতীব জরুরি। সিলিং হিসেবে ফলস সিলিং ব্যবহার করা
যেতে পারে। সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা যাবে তবে সেটা শুধু রিফ্রেশমেন্ট রুম এবং রিসেপশনে।
বসার জায়গা বা রেস্টিং প্লেস হিসেবে শক্ত ফোমের সোফা ব্যবহার করতে পারেন বা লেদার
ফোম ব্যবহার করা যাবে। ট্রেইনার-এর কক্ষে এবং রিসেপশনে একটি করে স্মার্ট টিভি সেট
করতে হবে।
ফিটনেস সরঞ্জামাদি
ফিটনেস সরঞ্জামাদির মধ্যে আধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার
করা উচিত। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো এইসব সরঞ্জাম
বিক্রি করে থাকে। তাছাড়া বাইরের দেশ থেকেও অর্ডার দিয়ে এসব আমদানি করা যায়।
ফিটনেস সরঞ্জামাদির মধ্যে যেগুলো অবশ্যই প্রয়োজনীয় সেগুলো হলো- ডাম্বেল সেট,
বারবেল, ট্রেনিং বেঞ্চ, কেটলবেল্ট সেট, পুল-আপ ফ্রেম অথবা বার, ট্রেডমিল, স্টেশনারি
বাইসাইকেল, ফিটনেস বল, মোটা দড়ি, কিছু ছোটখাট এক্সেসরিস যেমনঃ স্কিপিং রোপ,
ওয়েটলিফটার ডিস্ক, স্যান্ডব্যাগ, ইত্যাদি। সরঞ্জামাদি সাজানোর বেলায়ও কিছু নিয়ম আছে। সব
একই ধরনের সরঞ্জামগুলো পাশাপাশি রাখতে হয়। যেমন- একের অধিক স্টেশনারি বাইসাইকেল
থাকলে সেগুলো পাশাপাশি কিছুটা গ্যাপ রেখে বসাতে হয়। তেমনি একাধিক ট্রেডমিল থাকলে
সেগুলোও পাশাপাশি রাখা ভাল। এতে করে কোনো ট্রেইনি খুব সহজেই এক স্টেপ থেকে অন্য
স্টেপ বা এক্সারসাইজে যেতে পারবে বা সুইচ করতে পারবে।
কক্ষ ব্যবস্থাপণা
একটি বড় আকারের ফিটনেস সেন্টার না রেখে কয়েকটি ছোট সেকশনে ভাগ করে রাখা ভালো।
অবশ্যই একটি রিসেপশন প্লেস এবং ডেস্ক থাকতে হবে যেখানে হাজিরা রেকর্ড হবে এবং
কোনো ভিজিটর আসলে তাকে ফিটনেস প্ল্যান বা Brochure দেওয়া যায়। এছাড়া paid course
গুলোর জন্য রেজিস্ট্রেশন-এর কাজগুলোও রিসেপশন এরিয়ায় করা উচিত। এছাড়া ফিটনেস
সেন্টার ওনার/মালিক-এর একটি আলাদা কক্ষ থাকা উচিত। সেখানে একটি ডেস্ক, কর্পোরেট
চেয়ার, ভিজিটর সোফা/কাউচ, এবং কিছু ডেকোরেশন রাখা ভালো। ট্রেইনিদের বিশ্রামের জন্য
ফ্লোরে কার্পেট রাখা যেতে পারে তবে পাশাপাশি কিছু কাউচ বা চেয়ার রাখা ভাল। রিফ্রেশমেন্ট
রুম ফাকা রাখাই ভালো তবে ফ্লোরে রাবার বা সফট ফোম ম্যাট ব্যবহার করা যাবে। রিফ্রেশমেন্ট
রুমে এসি রাখা ঠিক না তবে সিলিং ফ্যান অথবা স্ট্যান্ড ফ্যান রাখা যায়। ছেলে এবং মেয়েদের
ফিটনেস এর শিডিউল বা সময় আলাদা না থাকলে, টয়লেট ব্যবস্থাপণার ক্ষেত্রে অবশ্যই
নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে দুইটি টয়লেট রাখা উচিত এবং ছেলে-মেয়ে
লোগো মার্কিং থাকতে হবে। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে আলাদা টাইম শিডিউল রাখাই উত্তম।
ট্রেইনার কক্ষ
স্পেস এমনভাবে ম্যানেজ করতে হবে যাতে ট্রেনার/ট্রেনারদের বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকে। সারাদিন
হাটাহাটি করলে বা ঘোরাঘুরি করতে থাকলে ট্রেইনার ক্লান্ত হতে পারেন এবং কাজের গতিও
কমে যেতে পারে। মালিক বা সিইও-র কক্ষের মত ট্রেইনার কক্ষও থাকা উচিত। কক্ষে কাউচ বা
ইজি চেয়ার রাখা যেতে পারে। তাছাড়া বড় এলইডি স্ক্রিনসহ স্মার্ট টিভি থাকতে হবে। স্মার্ট টিভির
মাধ্যমে ট্রেইনার ও ট্রেইনি-রা ইউটিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও দেখতে পারবে
এবং ফিটনেস স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে শিখবে।
স্টাফ ম্যানেজমেন্ট ও অন্যান্য
একজন ভাল মানের ট্রেনার, আপনার ফিটনেস সেন্টারকে করতে পারে সেরাদের সেরা। আবার
একজন মোটামুটি মানের ট্রেইনারের জন্য কোম্পানি পথেও বসতে পারে। স্টাফ ম্যানেজমেন্ট
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে কোনো ফিটনেস সেন্টারের জন্য। আসুন দেখা যাক, একটি ভাল
মানের ফিটনেস সেন্টার বা জিম খুলতে গেলে কোন্ ধরনের স্টাফ দরকার হয় এবং তাদের
দায়িত্ব এবং পদাধিকার কিরুপ হয়ে থাকে-
ম্যানেজিং ডিরেক্টর/ জিম ওনার
যেহেতু এটি একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা ক্ষেত্র, এখানে একজন মালিক বা ডিরেক্টর থাকা দরকার।
তিনি বেতনভুক্তও হতে পারেন অথবা স্বত্ত্বাধিকারীও হতে পারেন। ব্যক্তিগত মালিকানায় তৈরি
ফিটনেস সেন্টারে মালিক সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। তবে মালিক বাইরে থাকলে
অথবা কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত না থাকতে পারলে পরিচিত কাউকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে
দায়িত্ব দিতে পারেন।
সিইও
চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিইও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পরেই এর
অবস্থান। সাধারণতঃ প্রফেশনাল ট্রেইনার বা মূল ট্রেইনারই সিইও হয়ে থাকেন যিনি ফিটনেস
ট্রেনিং করানোর পাশাপাশি কোম্পানির কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। সিইও
মার্কেটিং সেক্টর এবং ট্রেনিং সেক্টর পরিচালনা করেন। তিনি চাইলে মার্কেটিং এসিস্ট্যান্ট রাখতে
পারেন।
ট্রেইনার/ ফিজিও
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফিজিওথেরাপিস্ট এবং ফিটনেস নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিরাই এই ট্রেনারের
দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে এই subject নিয়ে academic লেভেলে কোনো সিলেবাস
না থাকলেও শর্ট-কোর্স ট্রেনিং অথবা বাইরের দেশ থেকে ফিজিও ট্রেনিং প্রাপ্তরাই এই পেশায়
আসতে পারেন। আবার দীর্ঘদিন ধরে একই জিমে ট্রেইনি হিসেবে থেকে ভাল পারফরমেন্স
করেও অনেকে ট্রেইনার হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল
মেশিনারিজ আর ইকুইপমেন্টের যুগে প্রত্যেক ট্রেনারকে হতে হবে আধুনিক ও মেশিন
বিশেষজ্ঞ।
সাধারণ স্টাফ
সাধারন স্টাফের মধ্যে পড়ে এক্সিকিউটিভ, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, রিসেপশনিস্ট, অফিস
এক্সিকিউটিভ এবং ক্লিনার। এরা ফুল-টাইম বা পার্ট টাইম কর্মচারী হতে পারে। যেহেতু নতুন
জিম সেটআপে মূলধন কম থাকে, তাই অল্প বেতনে এদের পার্ট-টাইম হিসেবে নিয়োগ দেয়া
যেতে পারে। অবশ্য ছোট আকারের জিম বা ফিটনেস সেন্টারের জন্য কর্মচারীর সংখ্যা কম
রাখাই ভাল। তবে ক্লিনার হিসেবে একজন স্থায়ী কর্মচারী রাখা উচিত।
সারকথা
সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে আমাদের দেশের বিভিন্ন সেলিব্রিটি, খেলোয়াড়, উদ্যোক্তা, হবিস্ট,
এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতে- অনেকেই ফিটনেস নিয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে।
অনেকেরই আছে নিজস্ব ফিটনেস ব্লগ এবং ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট। পাশাপাশি ফেসবুক আর
ইউটিউব পেজ ত আছেই। লাইভ ফিটনেস মুভ বা workouts ও দেখাচ্ছেন অনেকেই। বাইরের
দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়ে চলেছি দ্রুত। তবে সরকারী অনুদান বা ব্যবসাবান্ধব
পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মূলধন এবং পার্টনারশিপেও চলতে পারে যে কোনো
ফিটনেস সেন্টার। অনেকেই বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে এসে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন
এবং বেশ ভালোও করছেন। ভবিষ্যতে এ সেক্টরটিও হতে পারে আমাদের বহুমাত্রিক ব্যবসার
একটি ক্ষেত্র।
0 Comments